ভোলানাথ বসু, বাগেরহাটের এক পরিবার-প্রধান, সফল ব্যবসায়ী, হৃদয়বান সজ্জন পরোপকারী পুরুষ, নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে পথ চলে স্থিত হয়েছেন জীবনে, শহরের বনেদি এক বাড়ির স্বত্ব গ্রহণ করেছেন, হাল ধরেছেন বড় সংসারের, ব্যস্ততার মধ্যেও পুত্র-কন্যাদের মানুষ করে তুলবার দিকে রয়েছেন মনোযোগী। বাংলার আরো অনেক পরিবারের মতো জীবনানন্দে তৃপ্ত সুখময় সংসারযাত্রা হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হয় উনিশ শ’ একাত্তরে, আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল বাগেরহাট থমকে যায় পাকবাহিনী সূচিত গণহত্যাভিযানে। যে মাসে শহরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী, তাদের সাথে হাত মেলায় স্থানীয় অনুগত দালালগোষ্ঠী, যারা ভোলানাথ বসুর অপরিচিত নয়, অনেকে তার বদান্যতায় উপকৃতও বটে। এরপর ভোলানাথ বসুর জীবনপ্রদীপ আকস্মিক কীভাবে নিভিয়ে দেয়া হলো, নিষ্ঠুর যে হত্যা কাণ্ড ঘটলো তাঁরই আপন গৃহে সবার চোখের সামনে, পরিবারের দিশেহারা সদস্যরা, প্রবীণ মাতা থেকে কনিষ্ঠতম পুত্র, কীভাবে সবাই সেই ভয়ঙ্করতার মুখোমুখি হলেন, রক্তক্ষত অন্তরে বহন করে অশ্রু অবরুদ্ধ রেখে কেমন করে পরিচালনা করলেন আরেক সংগ্রাম- সেসব কথা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। চল্লিশ বছর পর সেই স্মৃতিভাষ্য মেলে ধরেছেন পরিবারের সদস্য, পাড়া-প্রতিবেশী নিকটজন এবং বন্ধু-সুহৃদেরা। একাত্তরের নারকীয়তার এ-এক খণ্ড ছবি, নরকাভিজ্ঞতার মুখোমুখি মানুষদের ব্যক্তিগত নিবিড়তম অনুভূতির কষ্টকর প্রকাশ; তবে এই বয়ান আমাদের সামনে মেলে ধরে ইতিহাসের বড় সত্য, একজন মানুষ ও একটি প্রতীক হয়ে উঠলেন শহীদ ভোলানাথ বসু।
-26%
Language
বাংলা
Number of pages
450.00
Edition
তৃতীয় মুদ্রণ : পৌষ ১৪৩১, জানুয়ারি ২০২৫
ISBN
984-70124-0132-3
Country
বাংলাদেশ
Reviews
There are no reviews yet.