বিমান চালনায় যিনি দক্ষ, একই সঙ্গে সাহিত্যব্রতী হিসেবে কৃতির স্বাক্ষর রেখেছেন এমন মণিকাঞ্চনযোগ একান্ত দুর্লভ। লেখক ও ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বাঙালি বৈমানিকদের মধ্যে তেমনি এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। তিনি যখন লেখেন মানুষের আকাশজয়ের কাহিনি, বিবৃত করেন বেলুনে উড়তে শুরু করা থেকে কীভাবে আকাশযানে পৌঁছলো মানবের উদ্ভাবনী সাধনা, মেলে ধরেন আদি সেই পর্বে জড়িত বৈমানিকদের দুঃসাহসিকতা, সেসব বয়ান হয়ে ওঠে চিত্তাকর্ষক ও রুদ্ধশ্বাস। বিমানযানের ক্রমোন্নতির যে চিত্র তিনি অঙ্কন করেন, ব্যাখ্যা করেন এর নানা দিক, তার সাথে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞত্য ও পর্যবেক্ষণ যুক্ত হয়ে একেবারে কারিগরি সব তথ্যও হয়ে ওঠে রসমণ্ডিত। সর্বোপরি তাঁর এই গ্রন্থের উদ্দিষ্ট আজকের নবীন-নবীনা, যাদের কেউ কেউ হয়তো আগামী দিনে বৈমানিক হতে অভিলাষী, তাদের স্বপ্নসিন্ধির প্রেরণা হবে এই বই। আর এটা তো স্বতঃসিদ্ধ আগামী দিনে যাত্রীরা সওয়ারি হবে আরও দ্রুতগতি আরও আরামপ্রদ বিভিন্ন বিমানে, অনতিদূর ভবিষ্যতের মনোরম বিমানযাত্রা আজকের পাঠকের মানসপটে মেলে ধরবে সুখপাঠ্য সচিত্র এই বই।