সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম পেশাগত জীবনে নানা উচ্চপদে
যেমন কাজ করেছেন, তেমনি সান্নিধ্যে এসেছেন দেশ-
বিদেশের বহু গুণীজনের। প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষাজীবন
শেষে প্রথমে কলকাতায়, পরে ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন
অনেককাল। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য
বিভাগীয় দায়িত্বও পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ছিলেন
রেঙ্গুন ও মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কিছুকালের জন্য
তথ্যমন্ত্রীও। তবে এসবের চাইতেও বড় কথা তাঁর পঠন-
পাঠনের ব্যাপ্তি, প্রখর শিল্পবোধ এবং ইংরেজি-বাংলা উভয়
ভাষাতেই স্বচ্ছ গদ্যরচনায় অনুপম সিদ্ধি। বাংলাদেশের
প্রতি আনুগত্য পোষণের কারণে পাকিস্তানে চাকরিজীবনে শুধু
নিগৃহীতই হন নি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর আরো অনেক
বাঙালির সঙ্গে বন্দী হয়েছিলেন কাদেরাবাদ ও ওয়ার্সাক
ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পজীবনে বন্দীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের
পক্ষের শক্তির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি দাস্যভাবাপন্ন
ব্যক্তিবর্গেরও অভাব ছিল না। স্বাধীন দেশের দুর্ভাগ্য, তাদের
অনেকেই প্রত্যাগমনের পর রাষ্ট্রিক ও সামরিক নীতি-নির্ধারক
বিভিন্ন উচ্চপদে অভিষিক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের বন্দীশালায়
আটকাবস্থায় লেখা এই রোজনামচার প্রকাশ বিলম্বিত
হলেও এখনো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় নি মোটেই। আমাদের
বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সে কথার জানান
দিচ্ছে নানাভাবে। সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেমের এই গ্রন্থ
তাই মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবৃত্তের অতীতকালীন এক
অধ্যায়কে যেমন মেলে ধরেছে, তেমনি তা
বহন করছে সমকালীন তাৎপর্য।
-26%
Language
বাংলা
Number of pages
96
Edition
তৃতীয় মুদ্রণ : অগ্রহায়ণ ১৪২০, ডিসেম্বর ২০১৩
ISBN
9844650399
Country
বাংলাদেশ



Reviews
There are no reviews yet.