মূল পঞ্চতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক অনেককাল আগে। পরে পহ্লবী ভাষায় এর ভাষ্য নতুন করে উদ্ভূত হয়েছিল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে। মূল রচয়িতার নাম জানা না গেলেও পরবর্তী রূপের প্রণেতা হিসেবে বিষ্ণুশর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। কাশ্মীরে প্রচলিত পঞ্চতন্ত্রের রূপটির নাম ’তন্ত্রাখ্যায়িকা’। আর বাংলায় এর নাম ’হিতোপদেশ’। সুকুমারমতি তিন দুষ্টু রাজপুত্রকে গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে এই কাহিনীগুলো রচিত। মিত্রভেদ, মিত্রপ্রাপ্তি, সন্ধি-বিগ্রহ, লব্ধসম্পদ নাশ ও অপরীক্ষিতকারিত্ব- এই পাঁচটি প্রসঙ্গোর প্রতিটি স্বর্ংসম্পূর্ণ হলেও একই অভিন্ন কাঠামোর অন্তর্গত। প্রতিটি প্রসঙ্গে আছে অনেকগুলো ছোট ছোট গল্প, এগুলো আবার একটি প্রধান গল্পের সঙ্গে যুক্ত। দেশ, মানুষ, লোকাচার, পশু-পাখি ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এবং পরস্পরের সঙ্গে ব্যবহার কী হওয়া উচিত ও কী অনুচিত তা আছে পঞ্চতন্ত্রে। আর এইসব কাহিনী শুনে তিন দুষ্টু রাজপুত্র মজে গেল গল্পে, নাওয়া-খাওয়া গেল ভুলে। তারপর গল্প শোনা ও পড়া শেষ করে তারা হয়ে উঠলো আচরণে নম্র, বুদ্ধিতে উজ্জ্বল, বিদ্যায় পরাদর্শী। জাতকের সঙ্গে বহু মিল থাকার পরও পঞ্চতন্ত্র আজও তার স্বাতন্ত্র্য নিয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় লোকহিত গল্প হিসেবে সমাদৃত। এ্রর নীতিকথা, রহস্যময়তা ও হেঁয়ালি শত শত বছর ধরে মানুষ মুগ্ধ হয়ে শুনে আসছে, শোনার সেই আকর্ষণ ও প্রয়োজন আজও তার ফুরোয় নি।
-25%
Language
বাংলা
Number of pages
108
Edition
তৃতীয় মুদ্রণ : মাঘ ১৪২২, ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ISBN
984-465-282-0
Country
বাংলাদেশ
Reviews
There are no reviews yet.