জীবনসংগ্রামের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হেনা দাস পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। জন্মেছিলেন সিলেটের এক অভিজাত পরিবারে, শিক্ষা সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে। বিশ্বজুড়ে সাম্যবাদী আদর্শের যে দোলা জেগেছিল পরাধীন ভারতবর্ষে বিগত শতকের চল্লিশের দশকে তা বিপুলভাবে আকর্ষণ করেছিল দেশব্রতী শিক্ষিত তরুণ-সমাজকে। আদর্শের প্রতি অনুগত, আত্মোৎসর্গ-ব্রতে দীক্ষাপ্রাপ্ত নবীন-নবীনাদের অবদানে বিকশিত হয় কৃষক-শ্রমিকের অভূতপূর্ব সংগঠিত শক্তি, সেই সাথে ঘটে গণমুখী সংস্কৃতির বিস্ময়কর জাগরণ। উত্তাল সেই চল্লিশের সাম্যবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ঘর ছেড়ে বের হয়েছিলেন হেনা দাস, তারপরে দেশ ও সমাজে কতো-না পরিবর্তন ও রূপান্তর ঘটেছে, কতো নির্যাতন-নিপীড়ন নেমে এসেছে, তবু আর কখনো পিছপা হননি তিনি। কমিউনিস্ট পার্টির সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে যৌবনে মানবমুক্তির প্রয়াসে নিজেকে শামিল করেছিলেন, কাজ করেছেন চা-শ্রমিক বস্তিতে, কৃষকদের মধ্যে, সবচেয়ে দুস্থ ও পীড়িতজনের কাতারে। পাকিস্তানি আমলে কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি ছিলেন অবিচল। পরে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়ে একই আদর্শে পরিচালিত হয়েছে তাঁর অব্যাহত কার্যক্রম, শিক্ষক সমিতি নেতৃপদে বরিত হয়েছিলেন তিনি। একইভাবে নারীমুক্তির তাগিদ তাঁকে সম্পৃক্ত করেছিল মহিলা পরিষদের কাজে এবং সেখানেও নেতৃপদে সমাসীন হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি-পতাকা হাতে অনেক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন হেনা দাস। তাঁর সেই জীবনকৃতির রূপরেখা রচনার প্রয়াস নিয়েছেন গবেষক-লেখক তাজুল মোহাম্মদ, যা আজকের প্রজন্মকে মুক্তিচেতনায় উদ্বেলিত করবারই আরেক প্রয়াস। ইতিহাসে নানা ছেদ ঘটলেো পরম্পরার রয়েছে বিশাল ক্ষমতা এবং সেই শক্তির অনুপম প্রকাশ ঘটেছে হেনা দাসের জীবনে, যা হতে পারে আমাদের আগামী দিনের পাথেয়।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.