১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অকুতোভয় লড়াই করেছিলেন যে তরুণেরা তাঁদের এক অনন্য প্রতিনিধি শহীদ সুলেমান হোসেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি গণ-আন্দোলনে সক্রিয়, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সূচিত অসহযোগ আন্দোলনে তাই স্বাভাবিকভাবে ছিল তাঁর সক্রিয় ভুমিকা। ফলে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে সুলেমান হোসেনের কোনো সিদ্ধান্তের প্রয়োজ ছিল না, প্রতিরোধের প্রথম প্রহর থেকেই তিনি মুক্তির লড়াইয়ের অকুতোভয় সৈনিক। ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে সশস্ত্র যোদ্ধা সুলেমান হোসেন তাঁর দলে নেতৃভূমিকায় অধিষ্ঠিত হন। শত্রু হননে সদা অস্থির, আক্রমণ পরিচালনায় সম্মুখ কাতারে, এমনি তরুণ সুলেমান হোসেন নিজের জীবনের জন্য সামান্যতম পরোয়াও করেন নি। আর তাই সিলেট মুক্ত হওয়ার প্রাক-মুহূর্তে দুঃসাহসী এক অভিযানে ঝাঁপ দিয়ে আর ফিরে আসেন নি শহীদ সুলেমান হোসেন। আপন বুকের রক্ত তিনি ঢেলে দিয়েছেন স্বাধীনতার বেদিমূলে, খুঁজে পাওয়া যায় নি তাঁর লাশ।
চার দশকের পর সহকর্মী, সহযোদ্ধা ও নিকটজনেরা স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে আবার সজীব করে তুললেন শহীদ সুলেমান হোসেনকে। জীবন-উৎসর্গকারী এই তরুণের আত্মদানের কথকতা আমাদের দৃষ্টিতে উদ্ভাসিত করে বীর এক মুক্তিযোদ্ধার মুখ, মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া আরো অগণিত তরুণের প্রাণের স্পন্দনও যেন এখানে আবার ধ্বনিত হয়। এবাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি মেলে ধরছে অনেক মুক্তিযোদ্ধার ছবি, মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতার রূপ।
Reviews
There are no reviews yet.