১৯৭০ সালের জুলাই মাসে দূর মঠবাড়িয়ায় স্কুল শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন লেখক বিমলেন্দু হালদার। একই সময়ে যুগলের সংসারে আসে এক নতুন সদস্য, এদিকে স্ত্রীও চাকরি পেলেন সিলেটের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে। পরিবারের এই টানাপোড়েনের মধ্যে দেশজুড়ে জ্বলে ওঠে আগুন। নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী বাঙালির ন্যায্য অধিকার নস্যাৎ করার জন্য পাকবাহিনী শুরু করে বিশ শতকের ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। সেই পীড়ন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যাযজ্ঞ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের গভীরে এবং টলে ওঠে ছোট ছোট আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সাজানো প্রতিটি সংসার। সেই মহাদুর্যোগের মধ্যে একটি সাধারণ পরিবারের দুর্গতি, দুদৈর্ব, অসহায়ত্ব এবং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবনরক্ষার তাগিদ থেকে পরিচালিত সংগ্রাম গ্রন্থে মূর্ত হয়ে উঠেছে। অশেষ দুঃখভোগের পর লেখক সপরিবারে বরণ করেন শরণার্থী শিবিরের জীবন শুরু হয় আরেক সংগ্রাম। মমত্ব ও কর্তব্যবোধ নিয়ে শরণার্থী শিবিরের জীবন সুসহ করে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। অচিরেই বাংলায় উদিত হয় স্বাধীনতার সূর্য এবং আর সকল শরণার্থীর মতো লেখক-পরিবারও ফিরে আসে মুক্ত স্বদেশে। একাত্তরের সেই উত্তাল দিনগুলোতে সাধারণ এক ব্যক্তি ও পরিবারের অভিজ্ঞতা প্রকৃত অর্থে অসাধারণ এক বয়ান, কেননা এর মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আরেক বাস্তব, অজানা অনামা হাজারো মানুষের অভিজ্ঞতার যেদিকে সচরাচর পড়ে না দৃষ্টি, অজানা থেকে জীবন সংগ্রামের যে পরিচয়। ফলে অভাজনের কথা হলেও যে-অভাজনদের নিয়ে ইতিহাস, এই গ্রন্থ তাদের কথাই বলে।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.