১৯৪৬ সাল বাংলার ইতিহাসের এক উত্তাল সময়। ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ এবং তৎপরবর্তী দাঙ্গা-হাঙ্গামায় বিপর্যস্ত হয়েছিল মানবভাগ্য। নোয়াখালী ও বিহারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্বলে উঠেছিল আগুন, বয়ে দিয়েছিল নীরিহ মানুষের রক্তস্রোত, হিন্দু-মুসলিম সাধারণজনের জীবনে নেমে এসেছিল চরম অন্ধকার। সেই কঠিন সময়ে শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী নিয়ে প্রত্যন্ত নোয়াখালীর গ্রামে উপস্থিত হয়েছিলেন গান্ধীজি, দুর্গত হিন্দুদের রক্ষা করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনর্প্রতিষ্ঠায়। পরে তিনি গিয়েছিলেন বিহারে, দুর্গত মুসলমানদের রক্ষা করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনর্প্রতিষ্ঠায়। নোয়াখালীতে আরো জড়ো হয়েছিলেন নানা স্থান থেকে আগত সমাজকর্মী, তাঁদের একজন সিলেটের সুহাসিনী দাস, ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বরে যিনি এসেছিলেন নোয়াখালী, কাজ করেছিলেন পরের বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়ের ডায়েরিতে প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের বিবরণী লিপিবদ্ধ করেছিলেন। সেই ডায়েরি সম্পাদনা করে ভূমিকা, টীকাভাষ্যসহ বর্তমান গ্রন্থ প্রস্তুত করেছেন তরুণ গবেষক দীপংকর মোহান্ত। সেই সুবাদে আমরা পাই ইতিহাসের এক টালমাটাল সময়ের বাস্তব ছবি, যখন একদিকে লুপ্ত হয়েছিল মানবিক অনুভূতি ওসৌভ্রাতৃত্ব, আরেকদিকে চলেছিল মানবতার উত্থানের আয়োজন। মানুষের মানবিক হয়ে োঠার সেই নিরন্তর সাধনারই দলিল নোয়াখালী : ১৯৪৬।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.