সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষ, দেশ ও সমাজের সঙ্কট সন্ধিক্ষণে মানবিক ও নৈতিক ভূমিকা গ্রহণে অকুতোভয়, বাংলার সাহিত্য ও শিল্পচেতনায় আন্তর্জাতিক মাত্রা যোগাতে নিরলসভাবে কর্মশীল, বহু গুণে গুণান্বিত মধুর ব্যক্তিত্ব জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বড় পরিসরে জীবনকে দেখেছেন, জীবনের সঙ্গে নানা মাত্রায় ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার অভিজ্ঞতা ধারণ করেছেন। তাঁর জীবনকথা বাংলার পরিবর্তনশীল সমাজবাস্তব এবং মনন ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার শক্তিময়তার পরিচয় প্রদান করে। একই সঙ্গে তা অন্তরঙ্গ ব্যক্তিজীবন ও বহু পরিিচতজনের ঘনিষ্ঠ প্রতিকৃতি আমাদের সামনে মেলে ধরে। ১৯৯২ সালে কৈশোর ও প্রথম যৌবনের দিনগুলোর বর্ণনা দিয়ে তাঁর আত্মকথার প্রকাশনা শুরু হয়। এরপর খণ্ড খণ্ডভাবে প্রকাশ পেতে থাকে ‘নাই বা হলো পারে যাওয়া‘র অপরাপর পর্ব। ২০০৬ সালে ষষ্ঠ পর্ব প্রকাশের মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ স্মৃতিভাষ্যেরে ইতি টানতে চেয়েছিলেন লেখক। বিচ্ছিন্ন সেই পর্বগুলো একত্র করে প্রকাশিত হয়েছিল স্মৃতিভাষ্যের অখণ্ড সংস্করণ। আনন্দের কথা তারপরও একইরকমভাবে সক্রিয় থাকে তাঁর জীবনসাধনা এবং আত্মজীবনী আরো এক পর্ব তিনি রচনা করেন, ’বেলাশেষের কথকতা’ নামে যা প্রকাশ পায় ২০০৮ সালে। তারপরে, ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রয়াণের পূর্ব পর্যন্ত, সক্রিয় ছিলেন কবীর চৌধুরী এবং তাঁর কাগজপত্রের মধ্যে পাওয়া গেছে আত্মকথার আরো এক পর্ব এবং তৎপরবর্তী পর্বের সূচনাংশ। প্রকাশিত-অপ্রকাশিত সকল পর্ব একত্র করে এখন নিবেদিত হলো ‘নাই বা হলো পারে যাওয়া‘র অখণ্ড ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ। লেখক আজ নেই কিন্তু তাঁর হয়ে যুগের পর যুগ কথা বলবে এই বই।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.