পূর্ব বাংলার মফস্বল শহরের শিক্ষিত পারিবারিক মণ্ডলে বেড়ে-ওঠা কিশোরী দু’চোখ ভরে দেখেছে চারপাশের প্রকৃতি ও জীবন। তাঁর অভিজ্ঞতায় ছায়া ফেলেছে উপমহাদেশীয় সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনময়তা। বিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে সেই কিশোরী আসেন কলকাতায় ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে। বেথুন কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। ততদিনে রাজনীতির অমোঘ টানে ধস নেমেছে চেনাজানা পরিমণ্ডলে, ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গায় রক্তাক্ত হয়েছে মাটি, অবশ্যম্ভামী হয়ে উঠেছে দেশভাগ। পূর্ব বাংলার মেয়ে চাকরিস্থল ঢাকার পক্ষে বাছাই জ্ঞাপন করে কলকাতা থেকে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে চলে গেলেন বিলেতে। ১৯৪৯ সালে ফিরে এলেন ঢাকায়। প্রথমে ইডেন গার্লস কলেজে অধ্যাপনা এবং পরে হোস ইকোনমিক্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কর্মের সুবাদে ঘোরেন নানা দেশ। প্রত্যক্ষ করেন রাহুগ্রস্ত স্বদেশের অভিশাপ মোচনের বিভিন্নমুখী আয়োজন। অবশেষে ইতিহাসের ভ্রান্তি মোচন-কল্পে অভ্যুদয় ঘটলো স্বাধীন বাংলাদেশের। মোটা দাগের ইতিহাসের আড়ালে যে জীবনসত্য ও মানবপরিচয় লুকিয়ে থাকে তার উন্মোচন ঘটেছে হামিদা খানমের স্মৃতি-আলেখ্যে। এক নারীর ব্যক্তিগত জীবনাভিজ্ঞতা আমাদের সবার জন্য হয়ে থাকবে সুখস্মৃতিভাষ্য। কেননা ফেলে আসা অতীতের বহু পরিবর্তনময়তার অন্তরঙ্গ পরিচয় এখানে ফুটে উঠেছে ব্যক্তিগত কথকতায়। এই ঝরা ফুলের মালার সুরভি আমোদিত করবে বহুজনকে, কেননা জীবনের এই নম্র পাঠ যে সমাজসত্যের অনুপম দলিল।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.