তখন খেলা দেখা ছাড়া কোনো গত্যন্তর থাকে না, যখন পৌরুষ মাথা কুটে মরে, প্রতি মুহূর্তে মধ্যবিত্ত মার খায়, তবু নিপুণ মুখোশে অভিনয় করে যায় বিজয়ী সেনাপতির- যখন বাবার রক্তের ওপর ছেলের উদ্দাম নৃত্য, শতখণ্ড লাশ ছড়িয়ে দেয়া হয় শহরময়, অস্ত্রের উল্লাসে মত্ত গোখরোর ফণা, আবরণ হারিয়ে উৎসবে মাতে উলঙ্গনগরী- যখন খেদ নেই, অনুকম্পা নেই, কাঁপন নেই, আলোড়ন নেই, চোখ হারিয়ে ফেলে সমস্ত সাদা, এমনকি সন্ত কি কবি মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকাতর তাকিয়ে থাকে বাক্যবাগীশের দিকে স্তুতিবাক্য শোনার অভিলাষে, তখন ইন্দ্রিয় শিথিল, অসংলগ্ন- তখন তো কেবল দর্শকই বনে যাওয়া আর খেলা দেখা।
… এ এক নগরের গল্প, যে নগর বিশাল শামিয়ানায় ঢাকা- নানা রঙের পর্দায় জোড়া লাগানো, যার ভেতরে হাওয়া-বাতাস ঠিকভাবে খেলে না, আকাশো আড়ালে! এ-কাহিনী আমাদের সময় ও আমাদের শহরের, যা একইসঙ্গে বিমূঢ় ও স্তম্ভিত করে, আয়নায় নিজের চেহারা দেখে আর্ত চিৱকারে খানখান করে দিতে চায় চরাচর।
Reviews
There are no reviews yet.