হান্স মাগ্নুস এন্ৎসেন্সবার্গার তাঁর কবিতা সম্বন্ধে ভাবনার অনেকটাই পেয়েছিলেন ভাল্টার বেনিয়াজিন আর বের্টোল্ট ব্রেখ্টের সংস্কৃতিতত্ত্ব থেকে; তাই এই পণ্যভোগবাদী সমাজে কবিতাকে তিনি আরেকটি সুসম্পাদিত পণ্যদ্রব্যে পরিণত করতে চান নি, পয়সা ফেললেই যেটা বেসাতিযন্ত্র বা ভেন্ডনিং মেশিন থেকে বেরিয়ে আসবে; বরং তাকে তিনি করে তুলেছেন শৌচাগারের দেয়ালের গ্র্যাফিটির মতো, পরের লা্ইনগুলো লিখতে যে অন্যদের আমন্ত্রণ জানায়, উসকে দেয়, তাতিয়ে দেয়- অর্থাৎকবিতার রূপবন্ধ হয়ে ওঠে খোলামেলা, আপাতদৃষ্টিতে বিসংলগ্ন, পরিণত বা সুনিশ্চত কোনো স্তবকবিন্যাস নয়। এই অণুভঙ্গুর বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত দ্বিধাগ্রস্ত সময় ও সমাজকে ফোটাবার জন্য- আর সম্ভবত বদ্লাবার জন্যও- এই রূপবন্ধই তাঁর মনে হয়েছে জরুরি। তাই অভিজাত উচ্চ সংস্কৃতির মস্তান ও মাতব্বরদের হাত থেকে তিনি নিজে কবিতা যারা পড়ে না তাদের জন্য কবিতা লিখতে চেয়েছেন। আর সেই জন্যই তাঁর এই বই হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের কবিতা, অঙ্গীকারের কবিতা-বাংলা কবিতার এখনকার প্রেক্ষিতে যা একান্তই জরুরি ঠেকবে। আর তাঁর কবিতার বিভিন্ন সূত্র সম্বন্ধে খেই ধরিয়ে দেয়ার জন্য শুধু এই সংস্করণের জন্যই বিশেষভাবে একটি ভাষ্য রচনা করে দিয়েছেন পামেলা ম্যাকালাম, যিনি ক্যানাডার ট্রেনট বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য পড়ান, যিনি অক্সফোর্ডে রেমন্ড উইলিয়মস্-এর সঙ্গে গবেষণা করে ডক্টরেট পান এবং যাঁর গবেষণা বিষয় ছিল এজ্রা পাউন্ড ও টিএস এলিয়টের কবিতা।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.