বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপ্তির এক ভিন্নতর মাত্রা প্রকাশ পেয়েছিল মোহাম্মদ নুরুল কাদেরের বীরোচিত উত্থান ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। পাবনার তরুণ ডিসি নুরুল কাদের সরকারি চাকরির সকল প্রলোভন ও নিশ্চয়তাদুÕ-পায়ে মাড়িয়ে যুদ্ধেরএকেবারে সূচনালগ্নে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন খণ্ডযুদ্ধে পাকবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে গোটা পাবনাকে মুক্তাঞ্চল করে তোলা হয়। দেশজুড়ে পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুর ও বর্বর আক্রমণের পটভূমিকায় পাবনার প্রতিরোধ বিপুল অনুপ্রেরণা সঞ্চার করে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেওবাঙালির শৌর্যের পরিচয় মেলে ধরে।সংগঠিত পাকবাহিনীর প্রবল আক্রমণের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হলেও প্রতিরোধের লড়াই অব্যাহত রেখেছিলেন নুরুল কাদের। মেহেরপুরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজনে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুজিবনগরের সরকারে প্রথম নিয়োজিত সচিব হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন তৎার আস্থাভাজন হিসেবে। যুব ক্যাম্প পরিচালনা, প্রশাসনিক রূপরেখা প্রণয়ন ইত্যাদি তাৎপর্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডে নুরুল কাদেরের ভূমিকা ছিল মুখ্য। বিজয়ের পরপর মুজিবনগর থেকে তিনি আসেন ঢাকায় প্রশাসন স্থানান্তরের কাজ সূচনা করার জন্য। বাংালির মুক্তিঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেছিলেন নুরুল কাদের আপন সাহসিক ও আদর্শ-উদ্বেলিত ভূমিকার কারণে।জীবন-উপান্তে এসে সেই অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার তিনি মেলে ধরেছেন সবার জন্য, তৎার একান্ত আপনকার একাত্তর তাই বাঙালির মহতী সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ও হৃদয়গ্রাহী দলিল হয়ে উঠেছে।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.