আনোয়ার উল আলম শহীদ সেই প্রজন্মের সন্তান যাঁরা জন্মেই দেখেছেন ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি এবং দেশমাতার দুঃখমোচনে নানামুখি উদ্যোগ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন। টাঙ্গাইলের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য এই উদ্যমী তরুণ নানামুখী আগ্রহ নিয়ে জীবনের যে বিকাশ সাধনে ব্রতী হয়েছিলেন তার সঙ্গে স্বদেশী সমাজের শৃঙ্খলমোচনের ছিল স্বাভাবিক সম্পর্ক। ফলে ষাটের দশকের দ্বিতীয়ার্ধে ছাত্র-তরুণদের প্রতিবাদী চেতনা ও কর্মের সাথী তিনি হয়ে ওঠেন একান্ত স্বাভাবিকভাবে এবং আপন নেতৃগুণে অধিকার করেন বিশেষ স্থান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সদস্য-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসা তরুণের কাঁধে স্বাভাবিকভাবে অর্পিত হয় টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক প্রতিরোধেল অনেক গুরুতভার দায়িত্ব। যুদ্ধে ঝাঁপ দিয়ে লড়াই ও সংগঠনের বহুমাত্রিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে মধ্য দিয়ে বিশাল মুক্ত এলাকা জুড়ে চলে তাঁর প্রতিরোধে লড়াই। নিজেকে যথাসম্ভব প্রচ্ছন্ন রেখে জনমানুষের ভূমিকার যে ভাষ্য তিনি মেলে ধরেন তা বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বহু অজানা দিক উন্মোচিত করেছে, আমাদের দেখিয়েছে এবং আশ্চর্য সময়ের অনেক মানুষের অনন্য ভূমিকা, যে-পরিচয়ের সুবাদে আমরা বুঝতে পারি কোনো কোনো মানুষের বিশিষ্ট ভূমিকার কথাো। ‘একাত্তর আমার শ্রেষ্ঠ’ সময় তাই জাতির প্রতিরোধের ইতিকথা, মানুষের মহত্বের বীরগাথা এবং ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে ব্যক্তিমানুষের বিশিষ্ট অবদানের পরিচয়। সব মিলিয়ে এ-আখ্যান মুক্তিপিয়াসী মানুষের গর্ব ও গৌরবের কথকতা, জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জনেরর এক বিশিষ্ট রূপকারের ভাষ্য।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.