বিষণ্ন সময়ের বিষণ্নতর মানুষের অন্তর্দহনের রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক তাঁর এই উপন্যাসে। সমাজের সংস্থিতি যখন বিনষ্টি আক্রান্ত, অবক্ষয়ের সেই অমোঘ টান থেকে বুঝি কারো নিষ্কৃতি নেই। জাগতিক সফলতার পথে রুদ্ধশ্বাসে ধাবিত সমাজ মানবিক সম্পর্ক সূত্রের দিকে তাকাবারও ফুরসৱ পায় না। হাতের মুঠোয় চলে আসে বিত্ত বৈভব, কিন্তু সুখ ও শান্তিময় জীবন আঙুলের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়, তা রোধ করার সামর্থ্যহীন মানুষ খড়কুটোর মতো অঁকড়ে ধরে ভালোবাসার ন্যূনতম অবলম্বনটুকু। মানবিক সম্পর্কের বিপর্যয় আধুনিক সভ্যতায় যে সঙ্কট বয়ে এনেছে সেই অস্থির সময়ের বিদীর্ণ আত্মা বুঝি উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীসকল। অঢেল বৈভরে গা-ভাসানো ব্যবসা-সফল পরিবার থেকে সুবিধাবঞ্চিত নিম্নবর্গীয় মানুষ কেউ এখানে সুখী নয়। পীড়িত ও উপায়হীন কোনো কোনো মানুষ আলাদা জগৎবিচ্ছিন্ন সুখের পরিসর করে নিতে চায় একান্তভাবে নিজের জন্য, কখনো নেশার জগতে বুঁদ হয়ে, কখনো ধর্মের-খোলসকে পরম আশ্রয় ভেবে আত্মসমর্পণ করে অথবা কখনো-বা ভালোবাসার পবিত্র শিখাটুকু জ্বালবার নিষ্ফলা প্রয়াসে নিবেদিত হয়ে। অস্থিরতার কালে ভালোবাসা অবলম্বন করে বাঁচবার যন্ত্রণাদীর্ণ আলেখ্য এই উপন্যাস আমাদের সমকালীন বাস্তব ও জীবনযাত্রার এক অসাধারণ সাহিত্যরূপ হিসেবে গণ্য হবে।
Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.
Reviews
There are no reviews yet.